কলিজার আধখান

 কদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাটকটির বিভিন্ন অংশ চর্চিত। ‘কলিজার আধখান’ নাটকটির ভিডিও শেয়ার করছেন অনেকে। ফেসবুক, ইউটিউবের মন্তব্য ঘরে একের পর এক মন্তব্য করছেন দর্শক।


‘নাটকটা দেখে সত্যি চোখে পানি চলে এল। যার সন্তান নেই, সে বোঝে সন্তান না থাকার যন্ত্রণা কতটা বেদনাদায়ক’; ‘নাটকটা দেখে অনেক কেঁদেছি’; ‘সত্যি নাটকটা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না’—এমন হাজারো মন্তব্যে ভরে গেছে নাটকটির ইউটিউব কমেন্ট বক্স।




মুহাম্মদ মিফতাহ আনানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত এই নাটক ১ সেপ্টেম্বর সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরপরই দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন এটি দেখার জন্য। মাত্র দুই দিনেই এর ভিউ ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ। ৩ সেপ্টেম্বর এটি অবস্থান করছে বাংলাদেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তৃতীয় স্থানে। আর নাটক হিসেবে এর অবস্থান দ্বিতীয়।


‘কলিজার আধখান’ নাটকের দৃশ্যে মুশফিক ফারহান ও তানজিন তিশা

‘কলিজার আধখান’ নাটকের দৃশ্যে মুশফিক ফারহান ও তানজিন তিশাছবি : পরিচালকের সৌজন্যে

নাটকটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও তানজিন তিশা। সন্তান না হওয়া এক দম্পতির করুণ গল্প আবর্তিত হয়েছে এতে। নাটকে দম্পতি এতিমখানা থেকে একটি শিশু দত্তক নেয়। এরপর ঘটে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। এভাবেই নাটকের গল্প এগিয়ে যায়।





যেখানে রয়েছে সামাজিক বার্তাও। নাটকটি দেখে দর্শকের বিপুল সাড়া প্রসঙ্গে মুশফিক আর ফারহান বলেন, ‘এখন আমার নাটক নিয়ে দর্শকের ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা থাকে। আমি সেই প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই নাটকের গল্প আমাকে ভাবিয়েছিল, কাজ করার পর সেটাই দেখতে পাচ্ছি। এমন একটা ইস্যু নিয়ে করেছি, যাঁরা এ ধরনের সমস্যায় আছেন, তাঁরা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছেন। ফেসবুক-ইউটিউবে অসংখ্য মন্তব্য দেখে আপ্লুত হচ্ছি।’


‘কলিজার আধখান’ নাটকের দৃশ্যে মুশফিক ফারহান ও তানজিন তিশা

‘কলিজার আধখান’ নাটকের দৃশ্যে মুশফিক ফারহান ও তানজিন তিশাছবি : পরিচালকের সৌজন্যে

‘কলিজার আধখান’ নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এস কে সাহেদ আলী। এতে কণা ও ইমরানের গাওয়া একটি গান রয়েছে। মেহেদী হাসান লিমনের কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন মার্সেল।



নাটক থেকে আরও পড়ুন

মুশফিক ফারহানঅভিনয় শিল্পীতানজিন তিশাবাংলা নাটকভাইরাল

মন্তব্য করুন




ভাইরাল নিয়ে আরও পড়ুন

ডিপজল ভাই শুধু আমাকে নয়, মিশা ভাইকেও গরু উপহার দিয়েছেন: শিলা

ডিপজল ভাই শুধু আমাকে নয়, মিশা ভাইকেও গরু উপহার দিয়েছেন: শিলা

এভাবে শিরোনাম আসাতে আমি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি: ভাবনা

এভাবে শিরোনাম আসাতে আমি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি: ভাবনা

বিশ্বকাপে প্রজ্ঞানন্দ হারলেও জিতে গেছেন তাঁর মা

বিশ্বকাপে প্রজ্ঞানন্দ হারলেও জিতে গেছেন তাঁর মা

তাঁরা আমাদের ভালো থাকতে দেবেন না: শরীফুল রাজ

তাঁরা আমাদের ভালো থাকতে দেবেন না: শরীফুল রাজ


নাটক

যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চনাটক ‘একটি চুরির গপ্পো’

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ২২: ০০

যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চনাটক ‘একটি চুরির গপ্পো’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘একটি চুরির গপ্পো’। ২৬ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটায় নিউইয়র্কে জ্যামাইকা অ্যাভিনিউয়ের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে শুরু হবে বাংলাদেশ থিয়েটার অব আমেরিকা (বিটিএ) প্রযোজিত নাটকটি। এটি বিটিএর ৩৭তম প্রযোজনা।

দারিও ফো মূল গল্প থেকে ‘একটি চুরির গপ্পো’ রূপান্তর করেছেন আনিকা মাহিন। নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া বেবী। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলমগীর চঞ্চল, স্বপ্না কাওসার, ফজলুল কবীর, শারমীন ইভা, রোকেয়া বেবী ও ফারুক আজম। নাটকটির আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন শামীম মামুন ও জেফ হোসেন। প্রধান সমন্বয়কারী ফজলুল কবীর।




নাটক সম্পর্কে নির্দেশক রোকেয়া বেবী বলেন, ‘হুবহু অনূদিত বিদেশি নাটক মঞ্চায়নে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। নাট্যকার ইতালির গল্পটিকে সহজভাবে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত করে একটি বাংলা নাটক সৃষ্টি করেছেন। ফলে চরিত্র নির্মাণ, সংলাপ বলায় অভিনেতাদের শতভাগ স্বচ্ছন্দ পেয়েছেন। নাটকের ডিজাইন দাঁড় করাতে যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।’





যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘একটি চুরির গপ্পো’সংগৃহীত

এই নাটকের অভিনেতা ও বিটিএর জ্যেষ্ঠ সদস্য ফজলুল কবীর বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর আমরা মঞ্চে নাটক আনলাম। আশা করি, নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে। আমি এস এম সোলায়মানের সঙ্গে কাজ করেছি আর এই নাটকে তাঁর কন্যা আনিকা মাহিন নাট্যকার হিসেবে ও রোকেয়া রফিক পরিচালক হিসেবে অনেক কষ্ট করে নাটকটিকে মঞ্চে আনতে সাহায্য করেছেন।’



নাটক থেকে আরও পড়ুন

মঞ্চ নাটকনিউইয়র্কযুক্তরাষ্ট্রমঞ্চ

মন্তব্য করুন



মঞ্চ নিয়ে আরও পড়ুন

প্রতিবারই মনে হয়, আমি নতুন করে মঞ্চে উঠছি

‘হেলেন কেলার’–এর মঞ্চায়নে শেষ হলো সেলিম আল দীনের জন্মোৎসব

সানজিদা প্রীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

বিদেশিদের দেখানোর জন্য এই নাম পরিবর্তন: গণতন্ত্র মঞ্চ


নাটক

‘হেলেন কেলার’–এর মঞ্চায়নে শেষ হলো সেলিম আল দীনের জন্মোৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ২৩: ৩০

নাট্যকার সেলিম আল দীনের জন্মদিন ছিল ১৮ আগস্ট। এ উপলক্ষে স্বপ্নদল আয়োজন করে দুই দিনব্যাপী ‘নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন জন্মোৎসব ২০২৩’। এই আয়োজনের স্লোগান ছিল, ‘“চিত্রাঙ্গদা”র শততম আর “হেলেন কেলার”-এর পঞ্চাশ, বাংলা নাট্যের নবযাত্রায় সেলিম-ধারায় বসবাস’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে আয়োজিত উৎসবের আজ ছিল শেষ দিন। নাট্যাচার্যকে নিয়ে স্বপ্নদলের নিয়মিত উৎসবের ২৮তম আসর এটি।

শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ‘হেলেন কেলার’-এর ৪৯তম এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ৫০তম মঞ্চায়ন হয়। বাংলা নাট্যরীতিতে নির্মিত দেশ-বিদেশে প্রশংসিত মনোড্রামাটি লিখেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু, নির্দেশনায় ছিলেন জাহিদ রিপন। অভিনয় করেন জুয়েনা শবনম। এ ছাড়া নাট্যাচার্যের জীবন, কর্ম ও দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন নাট্যজন মাসুম রেজা।




দৃষ্টি-বাক্‌-শ্রবণপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও প্রবল আত্মবিশ্বাস আর অ্যান স্যুলিভানের প্রেরণায় হেলেন কেলার সব নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ান। সেই কাহিনি নিয়ে আবর্তিত স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’ প্রযোজনাটি। এতে উঠে আসে নারী জাগরণ, মানবতাবাদের পক্ষে এবং যুদ্ধ, সহিংসতা, বর্ণবাদ; তথা আণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থানের কথা। পাশাপাশি উঠে আসে ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গও।

এর আগে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় বাংলা নাট্যরীতিতে নির্মিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার ৯৯তম এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ১০০তম মঞ্চায়ন হয়। এদিন উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্যজন অধ্যাপক রশীদ হারুন।


সেলিম আল দীন। সংগৃহীতসংগৃহীত

এ ছাড়া শুক্রবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো কলাভবন থেকে নাট্যাচার্যের সমাধি অভিমুখে স্মরণ-শোভাযাত্রা ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

সেলিম আল দীন ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মফিজউদ্দিন আহমেদ ও মা ফিরোজা খাতুনের তৃতীয় সন্তান সেলিম আল দীন। প্রথম লেখাপড়ার শুরু আখাউড়ায় গৃহশিক্ষকের কাছে। 





কিছুদিন পর সেনেরখিল প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। তারপর মৌলভীবাজারের বড়লেখার সিংহগ্রাম হাইস্কুল, কুড়িগ্রামের উলিপুরে মহারানী স্বর্ণময়ী প্রাইমারি স্কুল এবং রংপুর ও লালমনিরহাটের স্কুলে পড়েন। পরে নিজ গ্রাম সেনেরখিলের মঙ্গলকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকেই মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৬৪ সালে।


স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’ নাটকের দৃশ্যস্বপ্নদলের সৌজন্যে

ফেনী কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ১৯৬৬ সালে। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়ার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। টাঙ্গাইলের সাদত কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি নেন। এরপর ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।



নাটকই হয়ে ওঠে সেলিম আল দীনের পথ চলার প্রধান বাহনসংগৃহীত

একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কপিরাইটার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করলেও পরে বাকি জীবন শিক্ষকতাই করেছেন। ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং আমৃত্যু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি সেলিম আল দীন ঢাকায় মারা যান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁকে সমাহিত করা হয়।


নাটক থেকে আরও পড়ুন

জন্মদিনমঞ্চ নাটকবাংলা নাটকমঞ্চ

মন্তব্য করুন



মঞ্চ নাটক নিয়ে আরও পড়ুন

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে কারণে চটিজুতা বিসর্জন দিয়েছিলেন

হঠাৎ রুনা লায়লার ফোন পেয়ে...

যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চনাটক ‘একটি চুরির গপ্পো’

প্রতিবারই মনে হয়, আমি নতুন করে মঞ্চে উঠছি


নাটক

‘মৌসুমী হামিদের সঙ্গে প্রেম করে বুঝতে হবে ভালোবাসার রহস্য’

বিনোদন প্রতিবেদকঢাকা

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০০: ৩০

‘অনেক মারামারি, খুনোখুনি দেখলাম। ভায়োলেন্স দেখলাম। কিছুদিন প্রেম দেখি, একটু প্রেম শিখি। এখনকার মানুষের মধ্যে প্রেম কম, তাই প্রেম প্রেম জিনিস বেশি দেখানো উচিত।’ ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চরকি আয়োজিত ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের ঘোষণার অনুষ্ঠানে এভাবেই কথা বলেন লাক্স তারকা মৌসুমী হামিদ।


মৌসুমী হামিদছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

‘সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ করিতেছি যে চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের একজন সুযোগ্য মিনিস্টার হিসেবে নিজের দায়িত্ব বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব। ভালোবাসার প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য প্রকাশ করিব; মিনিস্টার অব লাভ হিসেবে আমি কেবল ভালোবাসার গল্পের দিকেই নজর দেব,’ এভাবেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি হোটেলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিহাব শাহীন, রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুন, রায়হান রাফী প্রমুখ দেশের শীর্ষ ১২ নির্মাতাকে শপথবাক্য পাঠ করান অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। সেখানেই একফাঁকে ভালোবাসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের অনুভূতিও ব্যক্ত করেন মৌসুমী হামিদ।




ভালোবাসার রহস্য জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর দেন মৌসুমী হামিদ। বলেন, ‘মৌসুমী হামিদ জীবনে যে কয়টা প্রেম করছে, সব কয়টাই সিরিয়াস প্রেম। তাই তো মৌসুমী হামিদের সঙ্গে প্রেম করে বুঝতে হবে ভালোবাসার রহস্য। এভাবে তো বলে দেওয়া যাবে না (হাসি)।’


মৌসুমী হামিদছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

সব কটিই সিরিয়াস প্রেম বললেও প্রেমিকদের নাম বলেননি। তবে চাউর আছে, একাধিক অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক বিনোদন অঙ্গনে অনেকটাই ওপেন সিক্রেট ছিল। তবে প্রথম জীবনে উচ্চতার কারণে প্রেম ভেঙেও গিয়েছিল তাঁর। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে বলেছিলেন সেই কথাও। মৌসুমীর মতে, ‘উচ্চতার জন্য আমার প্রেম ভেঙেছিল। আমি একটা প্রেম করতাম। ছেলেটা আমার চেয়ে উচ্চতায় ছোট ছিল। সে আমার উচ্চতার দোহাই দিয়ে ব্রেকআপ করেছিল। এটা খুব কষ্ট দিয়েছে।’





মৌসুমী হামিদছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

তবে পরিবার থেকে কয়েক বছর ধরে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে মৌসুমী হামিদকে। দুই বছর আগে একবার জানিয়েছিলেন, যেকোনো সময় বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি করেছে তাঁর উচ্চতা। ছেলে দেখে পছন্দ হলেও তাঁর সমান উচ্চতার ছেলে মিলছে না। মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘লম্বা ছেলে তো খুঁজেই পাওয়া যায় না। আমার উচ্চতা ৫ ফুট সাড়ে ৯ ইঞ্চি। এই উচ্চতার ছেলে মেলানোর চেষ্টা করছি। মিলছে না। আমার উচ্চতার সমান ছেলে পেলে যেকোনো মুহূর্তে বিয়ে করে ফেলব।’



মৌসুমী হামিদ এরই মধ্যে তিনটি চলচ্চিত্রের শুটিং ও ডাবিং শেষ করেছেন। ছবিগুলো হচ্ছে ‘নয়া মানুষ’, ‘যাপিত জীবন’ ও ‘১৯৭১ সেই সব দিন’। এর মধ্যে সর্বশেষ ছবিটি চলতি মাসেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।


নাটক থেকে আরও পড়ুন

তারকার প্রেমঅভিনয় শিল্পীওটিটিমৌসুমী হামিদচলচ্চিত্র

মন্তব্য করুন



তারকার প্রেম নিয়ে আরও পড়ুন

আমিও চাই, কেউ আমায় কেয়ার করুক, ভালোবাসুক, গুরুত্ব দিক: মৌসুমী হামিদ

তুলতুলের সঙ্গে আমার আংশিক প্রেমের বিয়ে...

মালাইকা–অর্জুনের বিচ্ছেদ, গুঞ্জন না সত্যি?

জ্বরে ভুগছেন পরীমনি, আবার বাসা থেকে বেরিয়ে গেছেন রাজ


নাটক

সিডনি মাতিয়ে দেশে ফিরছেন চঞ্চলরা

কাউসার খান Contributor image

কাউসার খানসিডনি

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮: ০০

নাটকটিতে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, শাহনাজ খুশি, দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি। প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মঞ্চনাটক করে দর্শকদের মাতিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী এবং তাঁর সঙ্গীরা। গত ৩০ জুলাই বিকেল পাঁচটায় সিডনির ব্যাংকস টাউনের ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে ‘দড়ির খেলা’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। 


আরও পড়ুন

সাত বছর পর আবার মঞ্চনাটক নিয়ে অস্ট্রেলিয়া

এর আগে দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্নে ২১ জুলাই নাটকটি স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মঞ্চস্থ করা হয়েছিল। নাটকটিতে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, শাহনাজ খুশি, দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি। যুদ্ধবিরোধীর কাহিনি নিয়ে লেখা মঞ্চনাটকটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরাও অংশ নেন।




এর আগে ২০১৬ সালে মঞ্চনাটকের জন্য একই দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। 


যুদ্ধবিরোধীর কাহিনি নিয়ে লেখা মঞ্চনাটকটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরাও অংশ নেন। ফেসবুক থেকে

প্রায় সাত বছর পর নাটকের মানুষের বিদেশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নাটক নিয়ে আসা প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন চঞ্চল। তিনি বলেন, ‘অনেকবারই আসি আসি করছিলাম, করোনার কারণে আসা হয়নি। এখন আসার পর সিডনি, মেলবোর্ন—দুই জায়গার দর্শকদের আন্তরিকতা আর যাঁরা আমন্ত্রণ করেছেন, তাঁদের আতিথেয়তা—সবকিছুই মুগ্ধ হওয়ার মতো। তবে অস্ট্রেলিয়ায় অনেক পরিচিত মানুষ রয়েছে, যার কারণে অভিনয়ের বাইরেও ঘোরাঘুরির আনন্দটা বেশি পাচ্ছি, একটা এনার্জি পাওয়া যায়। আর এই এনার্জি নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের কাজগুলোতে চেষ্টা করি ভালো কাজ করার।’





২০০৬ সালের দিকে চঞ্চল চৌধুরী ও মাহফুজ আহমেদ অভিনীত এবং মামুনুর রশীদ চৌধুরী পরিচালিত ৩২ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দক্ষিণায়ন’ নির্মিত হয়েছিল সিডনিতে। তখনকার বাংলাদেশি বিনোদনজগতের সঙ্গে সিডনির যোগসূত্র ছিল অনেক কম। তবে এখনকার সময়ে বহু নাটক-সিনেমার শুটিং, তারকাদের আনাগোনা হয় সিডনিতে। এ প্রসঙ্গে কথা হলে চঞ্চল বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা এ দেশে বড় হচ্ছে, তাদের সঙ্গে বাংলা সিনেমা, নাটক ও সাহিত্যের পরিচয় করিয়ে দেওয়া জরুরি। তাদের সামনে বেশি বেশি বাংলাদেশি কনটেন্ট উপস্থাপন করা উচিত। আর এ জন্য আমাদের কাজগুলো ভূমিকা রাখছে, এটাই আনন্দের।’


প্রায় সাত বছর পর আবারও মঞ্চনাটক নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যান চঞ্চলরা। প্রথম আলো

বাংলা নাটক মানুষ যেমন পছন্দ করেন, তেমনই বাংলা নাটক নির্মাণেও সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন চঞ্চল চৌধুরী, ‘কিছু অপপ্রচার আছে যে মানুষ বাংলা নাটক দেখে না, যা একদমই সত্য নয়। বাংলা নাটকের এখন বিশাল একটা মার্কেট হয়েছে, বাংলা নাটক দেখে না বলে বলে নাটকের দাম কমিয়ে রাখার একটা ধান্দা চলছে, যাতে নাটকের বাজেট কম থাকে। সারা বিশ্বের বাংলাদেশিরা নাটক দেখছেন, প্রত্যেকের আলাদা রুচি আছে, তবে নাটক দেখছেন সবাই। এমনকি মঞ্চনাটকের সব শো হাউসফুল, আগাম টিকিট শেষ।’



‘দড়ির খেলা’র নির্দেশক ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাসের সঙ্গেও কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘এবার বিশেষ ভালো লাগাটা থাকছে। কারণ, দর্শকেরা মঞ্চনাটকটি উপভোগ করেছেন। গোটা আয়োজনটি দর্শকেরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে দেখেছেন এবং আয়োজনে সুশৃঙ্খল বজায় ছিল। এই ভালো লাগা নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছি।’


নাটকের অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা আমাদের প্রচণ্ড ভালোবাসা দেন, মনে হয় বছর থাকলেও তাঁদের এই ভালোবাসা প্রতিদান দিতে পারব না। তবে সবকিছুই ব্যর্থ হতো যদি শিল্পী হিসেবে আমাদের কাজ ঠিক না থাকত। কিন্তু দর্শক এবং আয়োজকেরা বলেছেন, আমাদের কাজ ভালো হয়েছে, শিল্পী হিসেবে এটাই পাওয়া।’


অস্ট্রেলিয়ার দুটি শহরে ‘দড়ির খেলা’র দুটি শো হয়। প্রথম আলো

কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাটকটি দেখার পর তাঁদের অনুভূতি তুলে ধরেন প্রথম আলোর কাছে। প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে চোখের সামনে দেখতে পেরে আবেগ প্রকাশ করেন তরুণ বাংলাদেশি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শুভজিৎ ভৌমিক, ‘আমার দেখা সেরা একজন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যেকোনো চরিত্রে বাতাসের মধ্যে মিশে যান। উনাকে সব সময় দূর থেকে দেখেছি। আজ সামনাসামনি দেখতে পেরে ভালো লেগেছ। আমার জন্য অমূল্য একটা স্মৃতি হয়ে থাকল তাঁর সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পারাটা।’


নাটকটি দেখতে দেখতে বিদেশে থাকার কথা ভুলে গিয়েছিলেন বলে জানালেন সিডনির ওয়াইলিপার্কের বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা কেক এন বেকের স্বত্বাধিকার মাসুমা মৌ। তিনি বললেন, ‘মঞ্চনাটক শুরু হয় বিকেল পাঁচটার দিকে। সব কাজ গুছিয়ে, সন্তানদের তৈরি করে আসতে আসতে আমার একটু দেরি হয়, ক্লান্ত ছিলাম কিছুটা। কিন্তু থিয়েটারে ঢুকে চঞ্চলদা ও বাকি সবার অভিনয় দেখতে দেখতে কাজের চাপ তো ভুলেছিই, আমি যে সিডনিতে আছি, সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম। সবার অভিনয়, নাটকের গল্প অসাধারণ লেগেছে।’


দর্শকচাহিদার কারণের আগামী দিনে আরও বাংলাদেশি তারকাদের অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনার কথা জানান সিডনিতে নাটকটির পরিবেশক বঙ্গজ ফিল্মস। আয়োজকদের একজন তানিম আল মিনারুল মান্নান বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশিদের বরাবরই আমরা সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর প্রতিবারই আমাদের সব শো হাউসফুল গেছে। আসন স্বল্পতার কারণে অনেকেই শো উপভোগ করার সুযোগ পান না, তাঁদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বাংলাদেশ থেকে যে তারকারা প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দেন, তাঁদের অসংখ্য

 ধন্যবাদ জানাই।’


নাটকের প্রদর্শনী শেষে বুধবার চঞ্চলদের দেশে ফেরার কথা।


নাটক থেকে আরও পড়ুন

মঞ্চ নাটকবৃন্দাবন দাসঅস্ট্রেলিয়াদিব্য জ্যোতিচঞ্চল চৌধুরীসৌম্য জ্যোতি




Comments

Popular Posts